What is HMPV virus?

সাব্বিরের ৩৩ বলে ৯ ছক্কায় ৮২ রানের ঝড়ের পরও হারল ঢাকা

 

সাব্বিরের ৩৩ বলে ৯ ছক্কায় ৮২ রানের ঝড়ের পরও হারল ঢাকা



আজ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ক্যামিও দেখিয়ে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। ডানহাতি ব্যাটারের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি করেছে ঢাকা। অর্থাৎ জিততে হলে চিটাগং কিংসকে করতে হবে ১৭৮ রান।

এই ম্যাচে সাব্বির রহমান ৩৩ বলে ৯টি ছক্কা এবং ৮২ রান করেছেন, যা কোনো নির্দিষ্ট দলের জন্য একটি বিশাল এবং শক্তিশালী ইনিংস। তার এই ঝড়ো ইনিংস দেখে যে কোনো ক্রিকেট প্রেমী মুগ্ধ হয়ে যাবে। তার ছক্কার পর ছক্কা এবং নির্ভীক শটগুলো যেমন স্টেডিয়ামে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, তেমনি পুরো টিম ঢাকার প্রতি দর্শকদের আশা এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল।

২২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সাব্বির নিজের শেষ ২৪ বলেই নিয়েছেন ৭৮ রান। তাঁর ৯ ছক্কা বিপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

ঢাকাকে লড়াই করার মতো পুঁজি জোগাড় করে দিতে সাব্বিরের আগে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৪৮ বলে ৫৪ রানের (৪ চার ২ ছক্কা) দারুণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার।

সাব্বিবের সঙ্গে অপরাজিত থাকা ফরমানুল্লাহ করেছেন ৯ বলে ১০ রান। বাকিদের কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি আউট হওয়া ৪ ব্যাটার- জেসন রয় (৪ বলে ১), স্টিফেন এসকিনাজি (১৪ বলে ৫), শাহাদাত হোসেন দীপু (৯ বলে ১০) ও থিসারা পেরেরা (২ বলে ১)।

তবে প্রথম ৬ ওভারেই চট্টগ্রামের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও উসমান খান তোলেন ৫৫ রান। এরপর বাকিরা শুধু রান তোলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। পারভেজ আউট হন ১৭ রান করে। ২৫ বলে ফিফটি করা উসমান খেলেছেন ৩৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। এরপর বাকি কাজটা করেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম হোসেন। ৩৯ রান করেছেন ক্লার্ক। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে, শামীম ১৪ বলে ৩০ রানে।



সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৭৭/৫ (সাব্বির ৮২*, তানজিদ ৫৪; খালেদ ৩/২১, আলিস ১/২৫)।

চিটাগং কিংস: ১৮০/৩ (উসমান ৫৫, ক্লার্ক ৩৯; ফারমানউল্লাহ ১/৩০, মোস্তাফিজুর ১/২৩)।

ফল: চিটাগং ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: খালিদ আহমেদ।


Comments